নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ
খুলনার কয়রা উপজেলার গিলাবাড়ি কুচির মোড়ে সন্তানদের সামনে মাকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনার ৪ দিন পরে মামলা। অতঃপর ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম আলী। তিনি জানান, মামলার পরপরই আসামি আরাফাত হোসেন ও সাইদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।
এর আগে ঘটনার ৪ দিন পরে ভিকটিমের পিতা আব্দুল গফ্ফার গাজী বাদী হয়ে শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাতে ১৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে কয়রা থানা পুলিশ অভিযানে নেমে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, ঈদের পরের দিন সোমবার ( ১১ জুলাই) সকালে প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক আব্দুল গফফার গাজীর জমিতে ঘর নির্মাণ করতে চায়। এসময় তার মেয়ে শামিমা নাসরিন ও তার ভাবী সালমা খাতুন ঘর নির্মাণে বাধা দেন। তখন প্রতিপক্ষ শামীমাকে বাড়ির ভেতর থেকে বের করে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করে। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বর্তমানে আহত শামিমা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভিকটিমের স্বামী আবুল কলাম সানা বলেন, ঘটনার সময় তিনি বাড়ীতে ছিলেন না। মোবাইলে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে স্ত্রীকে উদ্ধার করতে পুলিশের সহায়তা নেন। তিনি আরো বলেন, এর আগে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী একই ঘটনার জন্য সালিশ করেছেন। তারপরে আবারো তারা হামলা করেছে। লিয়াকত গংরা আগে জামায়াত বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারীর দল করেছেন তাই আামাদের উপর হুমকি দেওয়া সহ বারবার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এঘটনায় তিনি থানায় একটি সাধারন ডায়েরিও করেছেন। এই বর্বরীয় ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গোষ্ঠীর চাচাতো ভাইদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। বেশ কয়েকবার সালিশ করা হলেও সমাধান না হওয়ায় ডাকলে এখন কেউ আর যায়না। ঘটনার সময় আমি বাইরে ছিলাম। সংবাদ পেয়ে থানায় অবহিত করি।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের সময় কেউ আমার দল করতেই পারে। কিন্তু অপরাধ করলে আমার কাছে সকলেই সমান। একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আমার ভাব মুর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। আমি এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
কয়রা, খুলনা প্রতিনিধি
তারিখঃ- ১৬/০৭/২২ ইং।
Leave a Reply